মনিপুরী ইলিশ মাছের চাষ শুরু হল মৎস‍্য বীজ খামারে : নতুন স্বাদ পেতে উৎসাহ তুঙ্গে

20th September 2020 9:40 pm বর্ধমান
মনিপুরী ইলিশ মাছের চাষ শুরু হল মৎস‍্য বীজ খামারে : নতুন স্বাদ পেতে উৎসাহ তুঙ্গে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : আউশগ্রামের যমুনাদিঘি মৎস বীজ খামারে  শুরু হল মনিপুরী ইলিশ বা পেংবা মাছের চাষ। রবিবার মাছের চারা ফেলে তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মৎস মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি সম্পা ধারা, বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার, প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন,"বর্তমানে মৎস দফতর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়  এই পেংবা মাছের চাষ শুরু করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়াতেও পেংবার খুব ভালো উৎপাদন সম্ভব। মাছটি খেতে খুব সুস্বাদু। চাহিদা আছে। তাই আউশগ্রামের মৎসবীজ খামারে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।" 
পেংবা মাছের প্রচলিত নাম মনিপুরী ইলিশ।সারাদেশের মধ্যে সচরাচর মনিপুরেই এই মাছের দেখা মেলে। মনিপুরবাসীর অত্যন্ত প্রিয় এই মাছ। অতুলনীয় স্বাদের জন্য এই মাছের চাহিদা রয়েছে। মনিপুরে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয় পেংবা।এবার এই রাজ্যেও শুরু হয়েছে পেংবা চাষ। পুর্ব বর্ধমান জেলার কয়েকটি ব্লকে পরীক্ষামূলকভাবে পেংবা মাছের চাষ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বড়সর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে আউশগ্রামের যমুনাদিঘি মৎস বীজ খামারে। 
যমুনাদিঘি মৎসবীজ খামারে মোট ৪২ টি বড়সর পুকুর রয়েছে। এই মৎসবীজ খামার  রাজ্য মৎস উন্নয়ন নিগম পরিচালিত।  এদিন ৫০ হাজার পেংবা মাছের চারা ছা়ড়া হল যমুনাদিঘি মৎসবীজ খামারের পুকুরে। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ” আপাতত ৫০ হাজার মাছের চারা ছাড়া হল। যমুনাদিঘিতে ৫ লক্ষ পেংবা মাছের চারা ছাড়া হবে। এই মাছ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই শুরু হয়েছে। পেংবা মাছের চাষ লাভজনক চাষ।”পাশাপাশি এদিন মৎসবীজ খামারে ২টি মাগুর মাছের হ্যাচারী ও ২টি ভবনের উদ্বোধন করা হয়।পাশাপাশি ভালকি পঞ্চায়েতের সাহেবডাঙ্গাতে জেলাপরিষদের উদ্যোগে ৮০ কেজি পোনা মাছের চারা ছাড়া হয়।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।